নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের খুরুশ্কুল ইউনিয়নের উত্তর  রাস্তারপাড়া এলাকায় মাহামুদুল হক নামের এক ব্যক্তি খরিদা বসত ভিটা দখল নানা ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করেছেন তিনি। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ৭ নভেম্বর তার প্রতিপক্ষ মমতাজ আহমদ নিজের গোয়ালঘর নিজেরা পুড়িয়ে দিয়ে মাহামুদুল হক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই সাথে মাহামুদুল হকের ভিটায় থাকা স্থাপনা ভেঙে মমতাজ আহামদ ও তার পরিবারের লোকজন আসবাবপত্র লুট করার অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে অভিযোগ উল্টো অভিযোগ করে মমতাজ আহমমদ। তিনি দাবি করছেন, মাহামুদুল হক দলবল নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেছেন।

মাহামুদুল হক অভিযোগ করে বলেন, ৩০ বছর আগের ক্রয়কৃত মালিক আবদু শুক্কুর নামের একজনের কাছ থেকে ৩১৮০ খতিয়ানের ৪ শতক জমি (বসতভিটা) ক্রয় করেছিলেন মাহামুদুল হক। ক্রয় করার পর সীমানা বেড়া দিয়ে ওই জায়গায় টিনের একটি ঘর নির্মাণ করেন তিনি। কিন্তু ওই ৪ শতক জমি নিজের কেনা দাবি করে মমতাজ আহমদ ও পরিবারের লোকজন প্রায় সময় জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালায়।

মাহামুদুল হক বলেন, আমার স্পষ্ট দলিলমুলে কেনা জমি জবর দখল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে মমতাজ । মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও প্রায় সময় বিভিন্নভাবে জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালায় মমতাজ ও তার পরিবারের লোকজন। আদালতের নির্দেশে সরেজমিন তদন্ত করে এসিল্যান্ড একই স্থানে ১২শতক মমতাজ আহমদের দখলে এবং ৪ শতক মাহামুদুর রহমান দখলে পেয়ে সে মোতাবেক প্রতিবেদন দেন। কিন্তু ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দেয় মমতাজ আহমদ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেন আদালত।

মাহামুদুল হক অভিযোগ করেন, গত ৭ অক্টোবর ওই ১৪৪ ধারা নোটিশ জারি করা হলে নোটিশ পাওয়ার পরই পরই মাহামুদুল হকের ৪ শতক জমিতে থাকা টিনের বাড়িটি ভেঙে লুট করে নিয়ে যায় মমতাজ আহমদ ও তার মেয়েরা। এই খবর পেয়ে মাহামুদুল হক তার পরিবারের লোকজন নিয়ে তা ঠেকাতে যান। কিন্তু ঠেকাতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এতে দু’পক্ষের কয়েকজন সামান্য আহত হয়। কিন্তু এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাৎক্ষণিক মমতাজ ও মেয়েরা তাদের গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে গোয়াল ঘর পোড়ানোর অভিযোগ তুলে মাহামুদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য অপচেষ্টা করছে।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মমতাজ আহমদ বলেন, আমার কেনা অংশ থেকে ৪ শতক জমি কাগজপত্র বানিয়ে দখল করেছে মাহমুদুল হক। পরে লোকজন দিয়ে দখল করে। আমরা এই জমি উদ্ধারের জন্য মামলা করেছি। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, মাহামুদুল হকের ৪ শতক জায়গা আলাদা করে ঘেরাও দেয়া আছে। তবে ঘরটি কেটে ফেলায় কিছু অংশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাকি অংশ মমতাজ আহামদ ও তার পরিবারের লোকজন লুট নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মাহামুদুল হক এই সংক্রান্ত সচিত্র ভিডিও- ফুটেজও এই প্রতিবেদককে দেখিয়েছেন তিনি।

এসময় মাহামুদুল হক জোর দাবি দিয়ে বলেন, তিনি অন্যায়ভাবে জায়গাটি দখল করেনি। সঠিক দলিল মূলে আহামুদুর রহমান থেকে কেনা আবদু শুক্কুর থেকে জায়গাটি ক্রয় করেছেন মাহামুদুল হক।

তিনি বলেন, গোয়ালঘর পুড়িয়ে দেয়া সম্পর্কে মাহামুদুল হক বলেন, মমতাজ আহমদের পরিবারেরর লোকজন গোয়ালঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে। এটা এলাকার অনেক লোকজন দেখেছে। তারপরও আমি যে পুড়িয়েছি তার প্রমাণ করতে পারলে আমি নিজেই বিচারের কাঠগড়ায় উঠে শাস্তি মাথা পেতে নেবো। এই ঘটনার বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।